ধনুশ এবং কৃতি শ্যানন অভিনীত রোমান্টিক ড্রামা ‘তেরে ইশক মে’ বক্সঅফিসে যেন এক অপ্রত্যাশিত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কুন্দন থেকে শঙ্করের এই জার্নি ‘পাগলামো, জুনুন ও ইনটেন্স’ শব্দের যেন নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে। ২৮ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ছবিটি বক্সঅফিসে দারুণ পারফর্ম করছে। প্রথম তিন-চার দিন সামান্য ওঠাপড়ার পর, পাঁচদিনের মাথায় ধনুশ-কৃতির এই লাভস্টোরি যেন সম্পূর্ণভাবে ট্র্যাকে ফিরেছে। মনে করা হচ্ছে, এই সপ্তাহান্তেই সিনেমাটি সহজেই ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করবে।
পাঁচ দিনের কালেকশন রিপোর্ট:
ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুসারে, ‘তেরে ইশক মে’ পঞ্চম দিনে ১০.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে। এটি আগের দিনের কালেকশন (৮.৭৫ কোটি টাকা) থেকে ১৭.১৪ শতাংশ বেশি। প্রথম দিনে ছবিটি ১৬ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দিনে ১৭ কোটি টাকা এবং তৃতীয় দিনে ১৯ কোটি টাকা আয় করেছিল। ফলে, মুক্তির পর মাত্র পাঁচদিনে এই ছবির মোট কালেকশন দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি টাকা।
পিছনে পড়ল ‘রাঞ্ঝনা’:
বক্সঅফিস কালেকশনে ধনুশের আগের হিট সিনেমা, ২০১৩ সালের রোমান্টিক ড্রামা ‘রাঞ্ঝনা’-কে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘তেরে ইশক মে’। ‘রাঞ্ঝনা’ ভারতে আয় করেছিল ৬০.২২ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী এর আয় ছিল ৯৩.৯৭ কোটি টাকা। এই নতুন সিনেমাটি ইতিমধ্যেই ধনুশের সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমাগুলির তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
সিনেমার প্রেক্ষাপট:
যারা ইতিমধ্যে ছবিটি দেখেছেন, তারা বেনারসের পটভূমিতে তৈরি এই সিনেমার চিত্রনাট্য, গান এবং ধনুশের দুর্দান্ত অভিনয়ে মজেছেন। গল্পটি মূলত শঙ্কর (ধনুশ) এবং মুক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। প্রচন্ড রাগী শঙ্করের জীবনে সাইকোলজি নিয়ে পিএইচডি করতে আসা মুক্তি কীভাবে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, এবং সেই ভালোবাসায় প্রতিশোধের আগুন কীভাবে শঙ্করের জীবন ওলটপালট করে দেয়—সেই পাগলামোর গল্পই উঠে এসেছে এই ছবিতে।
ধনুশ ও কৃতি শ্যানন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রকাশ রাজ, যীশু সেনগুপ্ত, সুশীল দাহিয়া এবং মাহির মহিউদ্দিন-সহ অনেকে। হিমাংশু শর্মা ও নীরজ যাদবের লেখা এই সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন ভূষণ কুমার, কৃষাণ কুমার ও হিমাংশু শর্মা।