৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বক্স অফিসে রাজত্ব করছে আদিত্য ধরের স্পাই-থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। তবে ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে এই ছবির উত্তাপ এবার অনুভূত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও। বিষয়বস্তুর কারণে পাকিস্তানে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হলেও, সাধারণ মানুষের কৌতূহল দমানো যায়নি। উল্টে নিষিদ্ধ ছবি দেখার হিড়িক তৈরি করেছে এক নয়া বিশ্ব রেকর্ড!
ভেঙে দিল শাহরুখ-রজনীকান্তের রেকর্ড: পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তানে ‘ধুরন্ধর’ অবৈধভাবে প্রায় ২০ লক্ষ বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এর আগে পাইরেটেড ডাউনলোডের ক্ষেত্রে রজনীকান্তের ‘২.০’ এবং শাহরুখ খানের ‘রইস’ যে রেকর্ড গড়েছিল, রণবীর সিংয়ের ছবি তা অনায়াসেই ছাপিয়ে গিয়েছে।
কেন ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে এত ভয় পাকিস্তানের?
এই ছবিতে মূলত তিনটি বড় ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে:
১৯৯৯ সালের কান্দাহার হাইজ্যাক।
২৬/১১ মুম্বই হামলা।
করাচির কুখ্যাত লিয়ারি গ্যাং ওয়ার।
পাকিস্তানের অভিযোগ, এই ছবিতে তাদের দেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ পাকিস্তানি দর্শক ছবিটির অ্যাকশন ও থ্রিলার দেখতে এতটাই মরিয়া যে, ডার্ক ওয়েব বিশেষজ্ঞরা শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালয়েশিয়ার সার্ভার ব্যবহার করে আন্ডারগ্রাউন্ড স্ট্রিম ও ভিপিএন-এর মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ভারতের ‘জবাব’ দিতে ছবি বানাচ্ছে পাকিস্তান!
‘ধুরন্ধর’-এর কূটনৈতিক প্রভাবে কার্যত কোণঠাসা হয়ে সিন্ধু তথ্য বিভাগ এক বড় ঘোষণা করেছে। লিয়ারি গ্যাং ওয়ারের চিত্রায়ন নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক সরকার এবার পাল্টা ‘মেরা লিয়ারি’ নামক একটি ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাক সরকারের দাবি, লিয়ারি মানেই সন্ত্রাস নয়, বরং লিয়ারি তার সংস্কৃতি ও শান্তির জন্য পরিচিত। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেতে চলা এই ছবিটি নাকি ভারতের ‘অপপ্রচারের’ উপযুক্ত জবাব হবে।