ডিভোর্সের পর মানসিক চাপে ভেঙে পড়েছিলেন সানিয়া! ক্যামেরার সামনেই প্যানিক অ্যাটাকের ভয়ঙ্কর মুহূর্তের স্বীকারোক্তি

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণত মুখ খোলেন না টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। কিন্তু নিজের নতুন ইউটিউব টক শো, ‘সার্ভিং ইট আপ উইথ সানিয়া’ (Serving It Up with Sania)-র প্রথম এপিসোডেই তিনি ঝেরে ফেললেন যাবতীয় দ্বিধা। অতিথি ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বলিউড পরিচালক-কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের (Farah Khan) সঙ্গে আলাপচারিতায় সানিয়া তুলে ধরলেন নিজের ভেঙে পড়ার মুহূর্ত, ডিভোর্স-পরবর্তী মানসিক চাপ এবং ভয়ানক প্যানিক অ্যাটাকের অভিজ্ঞতা।

‘যদি না থাকতে, ওই শো করতে পারতাম না’
সানিয়া তাঁর জীবনের সবচেয়ে অবসাদের মুহূর্তের কথা বলেন, যা ক্যামেরার সামনে প্রকাশ করা তাঁর জন্য কঠিন ছিল। তিনি বলেন, “একটা দিন ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে অবসাদের মুহূর্তগুলোর একটা… ওই সময় তুমি (ফারাহ) সেটে এসে দাঁড়ালে। আমাকে লাইভ শো-তে যেতে হত, আমি কাঁপছিলাম। তুমি যদি না থাকতে, ওই শো করতে পারতাম না। তুমি বলেছিলে—‘নো ম্যাটার হোয়াট, ইউ আর ডুইং দিস শো।’ সেই কথাটাই আমাকে দাঁড় করিয়েছিল!”

ফারাহ খানও সেই সময়ের কথা স্মরণ করে জানান, সানিয়ার অবস্থা দেখে তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমার সেদিন শুট ছিল। কিন্তু সব ফেলে পায়জামা-চপ্পলে ছুটে যাই ওর কাছে। শুধু ওর পাশে থাকতে চেয়েছিলাম!”

ডাবল এফর্ট দিয়ে ছেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সানিয়া
আলোচনার টেবিলে বসে সহমর্মিতার সুরে ফারাহ আরও জানান, একা হাতে মা হয়ে ওঠার লড়াইটা সানিয়া যেভাবে সামলাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, “কাজ (Work) করতে হবে, ছেলেকে সময় দিতে হবে—দুটোই তোমাকে করতে হয়। এটা ডাবল এফর্ট, আর তুমি সেটা দারুণভাবে ম্যানেজ করছ!” সানিয়া মির্জা ২০১০ সালে শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে।

কোর্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় সামলে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সানিয়ার এই অকপট স্বীকারোক্তি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) নিয়ে খোলামেলা হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। যেখানে ভেঙে পড়ার কথা জানানোটা সামাজিক লজ্জা নয়, বরং এক ধরনের জরুরি থেরাপি। এই কঠিন লড়াইয়ে যাঁরা ফারাহ খানের মতো বন্ধু হিসেবে পাশে থাকেন, তাঁরাই এগিয়ে চলার রসদ জোগান।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy