টেলিভিশন বিনোদনের জগতে প্রতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকা যেন এক যুদ্ধের ফলাফলপত্র। এই সপ্তাহের রেটিং চার্টে বড় পরিবর্তন চোখে পড়েছে, যেখানে দীর্ঘদিনের দাপুটে ধারাবাহিককে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে অন্য এক মেগা হিট।
টলিপাড়ার সবচেয়ে বড় গুঞ্জন—তিন বছরের সাফল্যের পর ‘জগদ্ধাত্রী’ কি এবার শেষের পথে? জনপ্রিয়তা এখনও অটুট থাকলেও, এবারের রেটিং-যুদ্ধে ধারাবাহিকটি খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। সবাইকে ছাপিয়ে গিয়ে এই সপ্তাহের বেঙ্গল টপার হয়েছে ‘পরিণীতা’।
এই সপ্তাহের শীর্ষস্থান অধিকারীরা:
প্রথম স্থান (বেঙ্গল টপার): ‘পরিণীতা’ (রেটিং ৬.৮)। তটিনী ও শিবপ্রসাদের কাহিনি এখনও প্রবল আবেদন ধরে রেখেছে।
দ্বিতীয় স্থান: স্টার জলসার একসময়ের শীর্ষ ধারাবাহিক ‘পরশুরাম’ (রেটিং ৬.৬)। অল্প ব্যবধানে তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
যৌথ তৃতীয় স্থান: ‘জগদ্ধাত্রী’ এবং নতুন অ্যাকশন-ড্রামা ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’—উভয়েরই রেটিং ৬.৪। ‘জগদ্ধাত্রী’ শেষের পথে থাকা সত্ত্বেও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
চতুর্থ স্থান: রোম্যান্সে ভরপুর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (রেটিং ৬.২)। আর্য ও অপর্ণার বিয়ের উত্তেজনা দর্শককে ধরে রেখেছে।
যৌথ পঞ্চম স্থান: ‘ফুলকি’ ও ‘আমাদের দাদামণি’ (উভয়েরই রেটিং ৬.১)। বিশেষত, ‘আমাদের দাদামণি’ ধীরে ধীরে তার সময় স্লট থেকে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’-কে সরিয়ে দিচ্ছে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান:
ষষ্ঠ স্থান (যৌথ): ‘ও মোর দরদিয়া’ ও ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ (রেটিং ৫.৮)। নতুনদের মধ্যে ‘ও মোর দরদিয়া’ বিশেষ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
সপ্তম স্থান: ‘চিরসখা’ (রেটিং ৫.৫)। কমলিনী-স্বতন্ত্রের বিয়ের কাহিনিতে নতুন মোড় এলেও রেটিং স্থিতিশীল।
অষ্টম স্থান (যৌথ): ‘জোয়ার ভাঁটা’ ও ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’ (রেটিং ৫.৪)।
নবম ও দশম স্থান: যথাক্রমে ‘তুই আমার হিরো’ (৫.১) এবং ‘কনে দেখা আলো’ (৪.৯)।
নন-ফিকশন শো-গুলির লড়াইও জমজমাট। ‘সা রে গা মা পা’ পেয়েছে ৫.২ এবং ‘দিদি নাম্বার ১ সানডে ধামাকা’ পেয়েছে ৫.১। একসময়ের টিআরপি সম্রাট ‘পরশুরাম’-এর বর্তমান অবস্থান স্মরণ করিয়ে দেয় যে টেলিভিশনের সিংহাসন কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়।