ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রদের জনপ্রিয় করে তোলার নেপথ্যে সহ-অভিনেতাদের অবদান অনস্বীকার্য। তেমনই ‘কনে দেখা আলো’ ধারাবাহিকের তিন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কিঙ্কিনি (পূজা বণিক), শর্মিলা (রাজশ্রী ভৌমিক) ও শ্রীরূপা (অপর্ণা ভট্টাচার্য) নিজেদের অফস্ক্রিন বন্ধুত্বের কথা খোলাখুলি জানালেন। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওর মেকআপ রুমে গুছিয়ে বসে যখন তিনজনেই গভীর আলোচনায় মগ্ন, তখনই ফাঁস হলো তাদের একান্ত ব্যক্তিগত প্ল্যান।
সারাদিনের ১৪ ঘণ্টা শুটিং ফ্লোরে কাটানোর ফলে সহ-অভিনেতারাই কীভাবে আপন হয়ে ওঠেন, তা স্পষ্ট করলেন রাজশ্রী ভৌমিক। তিনি বলেন, “মেকআপ রুমে আমাদের সারাক্ষণ কিছু না কিছু চলে। এখন পপকর্ন খাওয়া চলছে। আমাদের তিনজনের অনেক্ষণের গ্যাপ আছে। তাই বসে না থেকে কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে। শপিং করলেও মন্দ হয় না।” তার মাথায় তখন ঘুরছে গড়িয়াহাট নাকি শপিং মল, কোথায় যাওয়া যায় সেই পরিকল্পনা।
বউ বদল ও ‘কাউকে না চাওয়ার’ গল্প
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, শ্রীরূপা হলেন লাজোর (প্রধান চরিত্র) শাশুড়ি এবং শর্মিলা হলেন জেঠি শাশুড়ি। বিয়ের পর বউ বদল হওয়ার কারণে শ্রীরূপা কোনোভাবেই লাজোকে মেনে নিতে পারে না। এই প্রসঙ্গে অপর্ণা ভট্টাচার্য (শ্রীরূপা) সহাস্যে বলেন, “কে জানে আমি বোধহয় কারোকেই চাই না ছেলের বউ হিসেবে। সে সম্ভবত নতুন কারোকেই খুঁজবে ছেলের বউ হিসেবে।”
রাজশ্রী (শর্মিলা) এই প্রসঙ্গে যোগ করেন, “অনস্ক্রিনে আমাদের যে রকম সম্পর্কই দেখানো হোক না কেন, অফস্ক্রিনে আমরা একে অপরকে বেঁধে বেঁধে থাকি। তবে, এই ধারাবাহিক এটাও শেখায় যে দুই জা দুই আলাদা বাড়ি থেকে আসলেও তারা একে অপরের বোন হয়ে উঠতে পারে।” তিনি আরও বলেন, পুত্রবধূকেও আপন করে নেওয়া যায়, আমার চরিত্র সেটাই করে।
পূজা বণিক (কিঙ্কিনি/পুত্রবধূ) বলেন, “এখানে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কটা খুব সুন্দরভাবে দেখানো হচ্ছে। শাশুড়িরাই আমার বন্ধু। ছোট শাশুড়ির ছেলের সঙ্গে এমন একটা কাণ্ড ঘটে গেছে। এতে তো ওনার কোনও হাত নেই। পরের মেয়েকেও আপন করে নেওয়া যায় সেই বার্তাও দেয় এই ধারাবাহিক।”
বউ বদলের পর এই জল এরপর কোনদিকে গড়ায়, লাজোর শাশুড়ি শ্রীরূপা কি তাকে মেনে নেবে, সেটাই এখন দেখার। ‘কনে দেখা আলো’ দেখুন সোম থেকে শুক্র রাত সাড়ে 9টায় টেলিভিশনের পর্দায়।