বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক-সুরকার শচীন সাংভির (Sachin Sanghvi) বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে এক যুবতী অভিযোগ দায়ের করার পর তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এবং পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এই মুহূর্তে মামলাটি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাধীন।
অভিযোগ এবং গ্রেফতারি:
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০ বছর বয়সী অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন যে মিউজিক অ্যালবামে সুযোগ ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শচীন সাংভি তাঁকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছেন। অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানান যে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে সাংভি প্রথম তাঁকে মেসেজ করেন এবং মিউজিক অ্যালবামে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপরেই তাঁরা ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, সাংভি পরে তাঁকে তাঁর স্টুডিয়োতে ডেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেন।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই পুলিশ সঙ্গীত পরিচালককে গ্রেফতার করে। যদিও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
আইনজীবী নিশান্ত জোহরির বিবৃতি:
নির্যাতিতার প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী নিশান্ত জোহরি এই বিষয়ে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করেছেন। বিবৃতিতে তিনি ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
জোহরি বিবৃতিতে বলেন, “ন্যায়বিচার পেতে আমরা প্রতিটি আইনি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন, তাই আমরা এই পর্যায়ে আর কোনও মন্তব্য করব না। আমরা সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের কাছে সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি যে তাঁরা যেন তাঁদের প্রতিবেদনে সংবেদনশীলতা এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। নির্যাতিতার মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং মানসিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ জানাব।”
শচীন সাংভির আইনজীবীর দাবি:
অন্যদিকে, শচীন সাংভির আইনজীবী আদিত্য মিঠে অভিযোগকারীর সমস্ত দাবি অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মিঠে জোর দিয়ে বলেছেন যে এফআইআরে উল্লিখিত অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এর কোনো প্রমাণ নেই। তিনি আরও বলেন যে মামলার কোনো যুক্তি নেই।
এখন দেখার বিষয়, ‘স্ত্রী 2’, ‘ভেড়িয়া’ খ্যাত জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক শচীন সাংভির বিরুদ্ধে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগের মামলার জল কতদূর গড়ায়।