বক্স অফিসে তো আগেই ঝড় তুলেছিল, এবার বিশ্ব মিউজিক মানচিত্রেও তেরঙা ওড়ালো আদিত্য ধরের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ (Dhurandhar)। এই প্রথম কোনো বলিউড সিনেমার অ্যালবামের সবকটি গান একসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দাপট দেখাচ্ছে। প্রেক্ষাগৃহে ৫০০ কোটি টাকার মাইলফলকের দিকে এগোতে থাকা এই ছবির মুকুটে যুক্ত হলো এক অনন্য পালক।
বিশ্বমঞ্চে ‘ধুরন্ধর’-এর দাপট: জনপ্রিয় মিউজিক প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই গ্লোবাল টপ ২০০ (Spotify Global Top 200) চার্টে জায়গা করে নিয়েছে এই অ্যালবামের ১১টি গানের প্রতিটি। এর আগে কোনো বলিউড সিনেমার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়:
গ্লোবাল অ্যালবাম চার্ট: বিশ্বজুড়ে ২ নম্বর স্থানে ডেবিউ করেছে এই অ্যালবাম।
আমেরিকা চার্ট: ইউএস টপ অ্যালবাম চার্টে ৫ নম্বর স্থানে রয়েছে এটি।
সেরা ১০-এ তিন গান: ছবির ‘টাইটেল ট্র্যাক’ বর্তমানে গ্লোবাল চার্টের ৩ নম্বরে। এছাড়া ‘ইশক জ্বলাকর কারওয়াঁ’ এবং ‘গেহরা হুয়া’ গান দুটিও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেরা ১০-এর তালিকায়।
সঙ্গীতের নেপথ্যে জাদুকর: ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী সঙ্গীত পরিচালক শাশ্বত সচদেব এই সাফল্যের কারিগর। সিনেমাটিক স্কোর, হিপ-হপ এবং ব্যালাডের এক অনন্য ফিউশন তৈরি করেছেন তিনি। এই অ্যালবামে দিলজিৎ দোসাঞ্জ, হনুমানকাইন্ড এবং বাহরাইনি শিল্পী ফ্লিপারচির মতো আন্তর্জাতিক মানের তারকাদের মেলবন্ধন দেখা গেছে।
কী বলছেন আপ্লুত সঙ্গীত পরিচালক? সাফল্যে অভিভূত শাশ্বত সচদেব জানান, “আমি সংখ্যার পেছনে দৌড়ানোর জন্য এই অ্যালবাম বানাইনি। ‘ধুরন্ধর’-এর কাজ হয়েছে অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা থেকে। ১১টি গানের প্রতিটিই বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হওয়াটা বড় সম্মানের।”
কেন এই জয় বিশেষ? বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ধুরন্ধর’-এর এই সাফল্য প্রমাণ করে দিল যে আন্তর্জাতিক বাজারে বলিউড মিউজিক এখন আর কেবল একটি ‘ভাইরাল ড্যান্স নম্বর’-এ সীমাবদ্ধ নেই। বিদেশি শ্রোতারা এখন পুরো সিনেমার অ্যালবামের বৈচিত্র্য এবং সুরের গভীরতা উপভোগ করছেন। ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে এখন কেবলই ‘ধুরন্ধর’ ম্যানিয়া!