আগামী ১ নভেম্বর, ২০২৫ (শনিবার) মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হতে চলা পাঞ্জাবি তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জের হাই-প্রোফাইল ‘অরা ২০২৫’ কনসার্টকে টার্গেট করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (SFJ)। বিশ্বব্যাপী শিখ প্রবাসীদের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা অর্জন এবং ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার বার্ষিকীর সঙ্গে যুক্ত ভারত-বিরোধী মনোভাব তুলে ধরাই এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।
হুমকির স্তর বৃদ্ধি:
অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ সূত্র সিএনএন-নিউজ১৮-কে জানিয়েছে, SFJ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের সরাসরি ভিডিও বার্তা এবং সাম্প্রতিক হরতাল সমাবেশের আহ্বানের ফলে মেলবোর্নের এই হুমকিকে স্তর ২-এ (Level 2) উন্নীত করা হয়েছে। এই স্তরটিকে মাঝারি থেকে উচ্চ (Medium to High) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
SFJ-এর অনলাইন হুমকি প্রদান, উস্কানিমূলক ব্যানার এবং সাইবার-বিঘ্ন ঘটানোর ইতিহাস থাকায় প্রশাসন বিষয়টি গুরুতরভাবে দেখছে।
প্রচারণার কৌশল ও জড়িত গ্রুপ:
SFJ-এর এই অভিযান স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের পরিবর্তে একটি সুপরিকল্পিত ‘ক্যালিব্রেটেড প্রভাব অভিযান’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
হ্যাশট্যাগ প্রচার: SFJ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X এবং Instagram-এ #BoycottDiljit এবং #PanthicJustice-এর মতো হ্যাশট্যাগগুলি প্রচার করছে।
বট কার্যকলাপ: তারা বট অ্যাক্টিভিটি এবং প্রবাসী ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত আবেগপ্রবণ ভিজ্যুয়ালগুলিকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
জড়িত গোষ্ঠী: প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে ভিক্টোরিয়ান শিখ ইয়ুথ ফ্রন্ট এবং অস্ট্রেলিয়ান শিখ রাইটস কালেক্টিভের মতো গোষ্ঠীগুলি পূর্বে SFJ-এর ডিজিটাল প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
পুলিশের নজরদারি:
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেলবোর্ন এবং সিডনির ১২-১৫ জন ব্যক্তির উপর সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। SFJ এনক্রিপ্ট করা টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সার্ভার ব্যবহার করে তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করছে।
টার্গেটের কারণ:
দিলজিৎ দোসাঞ্জ পঞ্জাবি গর্ব এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সাফল্যের প্রতীক হলেও, তিনি সাধারণত নিজের গোষ্ঠীর ভাবমূর্তির দিক থেকে অরাজনৈতিক অবস্থান বজায় রাখেন। তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়েই SFJ তাদের প্রচার চালাতে চাইছে। এছাড়া, এই প্রচারণার লক্ষ্য বিদেশে ভারতের সাংস্কৃতিক কূটনীতিকে দুর্বল করা এবং অন্যান্য শিখ সেলিব্রিটিদের ভারতপন্থী অবস্থান নেওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।