সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ভূমিকা এবং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ নিয়ে যখন জয়া বচ্চনের মন্তব্য ঘিরে বলিউড জগতে তীব্র তর্ক-বিতর্ক চলছে, ঠিক তখনই এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানালেন অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। তিনি সরাসরি বলেছেন যে, তারকারা যতই পাপারাজ্জিদের নিয়ে অভিযোগ করুন না কেন, বাস্তব চিত্রটা হলো—প্রচার প্রয়োজন হলে অনেক সেলেব্রিটি নিজেই ফোটোগ্রাফারদের ফোন করে খবর দেন।
একটি সাক্ষাৎকারে হুমা কুরেশি ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আমরা সবাই কমবেশি জানি, ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে বিষয়গুলো কাজ করে। যখন কোনও তারকা চান যে তাঁকে দেখা হোক, তখন অনেক সময় নিজেরাই পাপারাজ্জিদের খবর দেন।”
‘সত্যটা অস্বীকারের মানে নেই’
তাঁর মতে, এই সত্যিটা অস্বীকার করার কোনও মানে নেই। কেউ যদি বলেন যে তাঁরা সব সময় ক্যামেরার সামনে পড়ে বিরক্ত—তা পুরোপুরি সত্য নয় বলেই ইঙ্গিত দেন হুমা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই জয়া বচ্চন পাপারাজ্জিদের আচরণ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, তারকাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তে ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরেই আলোচনা শুরু হয়—পাপারাজ্জি সংস্কৃতি কি সীমা ছাড়াচ্ছে?
এই প্রসঙ্গে হুমা আরও বলেন, পাপারাজ্জিরাও আসলে নিজেদের কাজটাই করছেন। তাঁদের ছবি তোলার কারণেই তারকারা খবরের শিরোনামে থাকেন এবং তারকারাও এর মাধ্যমে প্রচারের সুবিধা পান। হুমা বলেন, “এটা এক ধরনের পারস্পরিক নির্ভরতার সম্পর্ক।” তাঁর মতে, শুধুমাত্র পাপারাজ্জিদের দোষারোপ করলে ছবির অর্ধেকটাই দেখা হয়।
তবে একই সঙ্গে অভিনেত্রী এটাও স্বীকার করেন যে, কখনও কখনও সীমা লঙ্ঘন হয়। ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে পড়া বা অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে নিয়ম ও শালীনতা বজায় রাখা জরুরি বলেই মত তাঁর।
সব মিলিয়ে, জয়া বচ্চনের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে হুমা কুরেশির বক্তব্য বলিউডে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। একদিকে তারকাদের ব্যক্তিগত পরিসরের প্রশ্ন, অন্যদিকে প্রচারের বাস্তবতা—এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে হুমা যেন স্পষ্ট করে দিলেন, পাপারাজ্জি সংস্কৃতি কেবল একতরফা সমস্যা নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রিরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।