টলিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমল আবারও তাঁর মানবিকতার পরিচয় দিয়ে অসংখ্য অনুরাগীকে মুগ্ধ করলেন। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, তিনি সহানুভূতি প্রদর্শনের বদলে বৃহত্তর মানবিকতার বার্তা দিলেন। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ খ্যাত আর্য্য, হাসপাতালের বিছানা থেকে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অনুরোধ করলেন যেন তাঁরা তাঁর জন্য অতিরিক্ত চিন্তা না করে, বরং পৃথিবীতে এমন অনেক নিঃস্ব ও অবদান রাখা মানুষের জন্য প্রার্থনা করেন।
অভিনেতা তাঁর দীর্ঘ পোস্টে লেখেন, “হসপিটালের বেডে শুয়ে হাতে রিস্টব্যান্ড অথবা দুঃখী মুখ করে ‘I will coming back soon’—এই সহানুভূতিশীল ক্যাপশনগুলো দেওয়ার বা ছবি তোলার কখনোই আমি পক্ষপাতিত্ব করি না। যারা করেন তাদের বিরুদ্ধাচারণও করিও না। মানব শরীরও তো একটা যন্ত্র। যন্ত্র তো মাঝে মাঝে খারাপ হবেই অথবা বিকল হবে। তাকেও সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। হসপিটালে এসেছি আবার ফিরে যাব। এটা অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। আমাকে নিয়ে এতো হা-হুতাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই।”
এরপর তিনি সমাজের প্রতি নিজের বিনয় প্রকাশ করে জানান যে, তিনি সমাজের এত বিখ্যাত মানুষ নন বা তাঁর অবদান এত বেশি নয় যে অনুরাগীরা তাঁর জন্য আবেগপ্রবণ হবেন। এর পরিবর্তে তিনি তাঁর পাশের বেডের এক ৮৬ বছর বয়সী বৃদ্ধের উদাহরণ দেন। সেই বৃদ্ধ সন্তান ও স্ত্রীকে হারিয়েছেন, কিন্তু হাসপাতালের সিস্টারদের ‘তুই’ বলে মেয়ের মতো সম্বোধন করে হাসিমুখে মৃত্যুর দিন গুনছেন। জিতু জানান, ওই ব্যক্তি সারা জীবন জঙ্গল সাফারি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে মানুষকে রোমাঞ্চ দিয়েছেন। অভিনেতার মতে, অনুরাগীদের উচিত সেই মানুষগুলোর কথা ভাবা।
অন্যদিকে, অসুস্থতার কারণে শুটিংয়ে বিরতি দেওয়ার জন্য তিনি প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ (SVF) এবং সাই বিঘ্নেশ ফিল্মস (Sai Vignesh Films)-এর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন, কারণ এর ফলে তাদের কাজে কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তিনি কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি।