ফ্লপের ধাক্কায় জর্জরিত ‘খিলাড়ি’! সুনীল দর্শনের সেই একটি সিদ্ধান্ত বদলে দিল অক্ষয় কুমারের ভাগ্য

আজ অক্ষয় কুমার বলিউডের অন্যতম ভরসাযোগ্য তারকা হলেও, এই সাফল্যের পথটা একসময় কাঁটায় ভরা ছিল। পরিচালক সুনীল দার্শন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের কেরিয়ারের সেই কঠিন ও অপমানজনক সময়ের কথা তুলে ধরেছেন, যখন একের পর এক ফ্লপের জেরে ইন্ডাস্ট্রির বড় প্রযোজক-পরিচালকেরা তাঁকে প্রকাশ্যে ‘জঞ্জাল’ (Junk) বলে দাগিয়ে দিতেন!

সুনীল দর্শন জানান, ‘জানওয়ার’ ছবির শুটিংয়ের সময় অক্ষয় চরম হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, “এই সময়টায় অক্ষয়ের জীবনে ভয়ঙ্কর একটা সময় চলছিল। সব জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছিল ও। ওকে বারবার রিজেক্ট করা হচ্ছিল, উপহাস করা হচ্ছিল। তখন বড় বড় পরিচালক-প্রযোজকেরা বলতেন, ‘অক্ষয় মানে জঞ্জাল!’ ‘ধড়কন’-এর কাজ থেমে গিয়েছিল, ‘হেরা ফেরি’র শুটিং পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” (যদিও সুনীল এই ছবি নির্মাতাদের নাম প্রকাশ করেননি)।

অপমান সহ্য করতে না পেরে কেঁদেছিলেন অক্ষয়:

সুনীল দর্শন আরও এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা শোনান। একদিন অক্ষয় তাঁর অফিসে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অক্ষয় জানান, তাঁর একটি ছবি মুক্তির মুখে, অথচ শহরে একটিও পোস্টার লাগেনি। প্রযোজকের কাছে কথা বলতে গেলে তিনি অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন এবং এমন সব কথা বলেন, যা অক্ষয়কে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়।

সেই সময় সুনীল অক্ষয়ের মনোবল ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জুহু সার্কেলের সবচেয়ে দামি জায়গাটি বুক করে ‘জানওয়ার’ ছবির বিশাল হোর্ডিং লাগান, যেখানে শুধু অক্ষয়ের ছবি ছিল। যদিও সিদ্ধান্তটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কিন্তু ফল মিলেছিল হাতে-নাতে। মুম্বইয়ে ছবিটি মাঝারি ব্যবসা করলেও উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে ‘জানওয়ার’ অলটাইম হিট হয়। ধীরে ধীরে এই ছবিই অক্ষয়ের কেরিয়ারে বড় কামব্যাক এনে দেয় এবং তাঁকে প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা দেয়।

বর্তমানে অক্ষয় কুমার প্রিয়দর্শনের সঙ্গে ‘হেরা ফেরি ৩’, ‘ভূত বাংলা’ ও ‘হাইওয়ান’ এবং আহমেদ খানের ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ সহ একাধিক বড় প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy