হাই হিল পরতে সব নারীই পছন্দ করেন। বিশেষ করে ফ্যাশন সচেতন নারীর কাছেই হাই হিলের কালেকশন থাকে। তবে অনেকেই হিল পরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। আবার হিল পরার অভ্যাস না থাকলে কিংবা দীর্ঘদিন পরপর পরলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। কারণ হাই হিল সামনে নিচু ও পেছনে উঁচু হওয়ায় শরীরের সব ভার পড়ে পায়ের পেছনে। আর এ থেকেই ব্যথা হয় পায়ে। পায়ে ব্যথার কথা চিন্তা করে অনেকেই হাই হিল এড়িয়ে যান। তাই বলে কি হাই হিল পরা বাদ দেবেন? কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ব্যথাহীনভাবে হাই হিল পরা যায়।
>> পা ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করে তবেই হিল পরুন। এতে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা থাকে না।
>> পায়ের জুতার সাইজ সঠিক হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সঠিক মাপের জুতা পরুন।
>> পায়ের আকারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। কারো পা থাকে চিকন আর কারো থাকে প্রশস্ত। কারো পায়ের আঙুল হয়
ছোট আবার কারো হয় বড়। আপনার পা যদি প্রশস্ত হয়, তাহলে চারদিক বন্ধ করা জুতা পরবেন না।
সামনে খোলা বা পেছনে খোলা থাকে এমন জুতা পরুন। কারণ সামনে-পেছনে ঢাকা জুতা পরলে আপনার অস্বস্তি লাগা শুরু
হবে সে থেকে হবে পায়ে ব্যথা।
>> পয়েন্টেড হিলের তুলনায় ব্লক হিল অনেক আরামদায়ক। যদিও পেনসিল হিলের কোনো তুলনা হয় না। তবে আরামদায়ক
জুতা পরতে চাইলে স্টাইলিশ ব্লক হিল জুতা পরুন। যা দেখতেও নান্দনিক আবার পরেও আরাম পাবেন।
>> মোটা সোলের জুতা পরুন। যেসব জুতার সোল পাতলা, সেগুলো আপনার পায়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। একটানা হিল না
পরে একটু বিরতি নিয়ে পরুন। এতে করে পায়ে ব্যথা হবে না।
>> হাই হিল পরে পায়ের গোড়ালিতে টেপ লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে করে ফোসকাও পরবে না আবার আরামও বোধ করবেন।
>> জুতা খোলার পর চেষ্টা করুন পা নাড়াচাড়া করতে। আলতো হাতে ম্যাসাজও করতে পারেন।
>> পায়ের গোড়ালিতে আইস প্যাক লাগান বেশি ব্যথা হলে।
>> দিনে অন্তত একবার ফুট ম্যাসাজ করতে পারলে ভালো।