ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের আবহে ফের বিষোদগার লস্কর-ই-তইবার। এবার সরাসরি ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখল কুখ্যাত জঙ্গি সইফুল্লা কাসুরি। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মূল পাণ্ডা তথা লস্করের এই ডেপুটি চিফ স্পষ্ট ভাষায় ভারতকে নাশকতার হুমকি দিয়েছে। তার এই ভিডিও বার্তা সামনে আসতেই ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাসুরি তার ভাষণে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে লক্ষ্য করে দাবি করে যে, ভারত কেবল জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে বড় ভুল করেছে। তার হুঙ্কার, ভারতে নাশকতা এখনই বন্ধ হবে না। এখানেই শেষ নয়, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে লস্করের ‘মিশন’ জারি রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি কাসুরি ভারতের মানচিত্র নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর ও কাল্পনিক দাবি করেছে। সে দাবি করে যে— অমৃতসর, হোশিয়ারপুর, গুরদাসপুর, জুনাগড়, মুনাভাদার, হায়দরাবাদ দেকান, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশও নাকি পাকিস্তান থেকে ‘দখল’ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উন্মাদনা ছড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখছেন।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, আন্তর্জাতিক চাপে কোণঠাসা লস্কর এখন তাদের অস্তমিত প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে এই ধরণের আগ্রাসী ভাষা ব্যবহার করছে। একদিকে অর্থের অভাব, অন্যদিকে ধারাবাহিক সেনা অভিযানে জঙ্গিদের মনোবল তলানিতে ঠেকেছে। তাই চরমপন্থীদের চাঙ্গা করতেই এই নতুন উস্কানি। তবে ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোনো বদল হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকা ও সংবেদনশীল রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরেও পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে দিল্লি।