২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বঙ্গে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ জানান দিচ্ছে যে, বাংলার মসনদ দখলে এবার কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না বিজেপি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যসহ শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত শাহ সোশাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন— “পশ্চিমবঙ্গ পরিবর্তনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।”
সোমবার রাতেই বিশ্রাম না নিয়ে সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে ম্যারাথন বৈঠকে বসেন বিজেপির ‘চাণক্য’। সূত্রের খবর, গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে আগামী নির্বাচনের রণকৌশল এবং সংগঠনের ফাটল মেরামতের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। আজ এবং কাল তাঁর কর্মসূচি ঠাসা। বেলা ১১:৩০-এ সাংবাদিক সম্মেলনের পর দফায় দফায় কোর গ্রুপ, সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। শাহী সফরের মূল লক্ষ্যই হলো নিচুতলার কর্মীদের ‘ভোকাল টনিক’ দেওয়া এবং বাংলা জয়ের একটি নিঁখুত নীল নকশা তৈরি করে দেওয়া।
রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে বিশেষ দুটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত, অনুপ্রবেশকারী ইস্যু— যা নিয়ে আসামে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন শাহ। দ্বিতীয়ত, মতুয়া ভোট ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়াল সভায় মতুয়াদের নিয়ে বড় কোনো ঘোষণা না করলেও, শাহ তাঁর সফরে নাগরিকত্ব বা মতুয়াদের অধিকার নিয়ে কোনো বিশেষ বার্তা দেন কি না, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সল্টলেক থেকে ইকো পার্ক— শাহী সফরের উত্তাপে এখন ফুটছে তিলোত্তমা।