ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া এক ব্লিঙ্কিট (Blinkit) ডেলিভারি রাইডারের জীবনযুদ্ধের গল্প ছুঁয়ে গেল আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার মন। ১৪ ঘণ্টা হাড়ভাঙা খাটুনির পর ২৮টি ডেলিভারি দিয়েও কীভাবে দিন শেষে মাত্র ৭৬২ টাকা হাতে আসে, সেই বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছিলেন উত্তরাখণ্ডের যুবক থাপলিয়ালজি। সেই ভিডিও দেখে কেবল সংসদেই সরব হননি রাঘব, বরং ওই রাইডারকে সসম্মানে নিজের বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান সাংসদ।
সাংসদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ রাইডার: রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে থাপলিয়ালজি লিখেছেন, “সবচেয়ে ভালো লেগেছে, উনি কখনও মনে করাননি যে উনি একজন সাংসদ। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পাশে বসে খেয়েছেন এবং মন দিয়ে আমাদের সমস্যার কথা শুনেছেন।” খাবারের টেবিলে বসেই অ্যাপের অ্যালগরিদম, অনিশ্চিত ইনসেনটিভ এবং দীর্ঘ কাজের সময়ের মতো গিগ ইকোনমির ‘অন্ধকার’ দিকগুলি সাংসদকে বুঝিয়ে বলেন ওই যুবক।
সংসদে গিগ কর্মীদের বঞ্চনার সুর: উল্লেখ্য, রাঘব চাড্ডা এই ইস্যুটিকে সংসদের অধিবেশনেও তুলে ধরেছিলেন। তাঁর মতে, ডিজিটাল অর্থনীতির আড়ালে এটি এক ধরনের ‘ব্যবস্থাগত শোষণ’। তিনি দাবি তুলেছেন যে, এই ডেলিভারি কর্মীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা এবং কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা রাষ্ট্রের একান্ত দায়িত্ব। রাঘবের এই মানবিক উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক তৎপরতা গিগ কর্মীদের সুরক্ষার লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।