মাঝরাতে জাতীয় সড়কে ‘উষ্ণতার ফেরিওয়ালা’! কুয়াশার মরণফাঁদ রুখতে পুলিশের চায়ের দাওয়াই

উত্তরবঙ্গে এখন হাড়কাঁপানো শীত। জলপাইগুড়িতে পারদ নেমেছে ১০-১২ ডিগ্রির ঘরে। তবে শীতের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘন কুয়াশার দাপট, যার জেরে জাতীয় সড়কে দৃশ্যমানতা নেমেছে তলানিতে। গত কয়েকদিনে কুয়াশার কারণে ঘটে যাওয়া একের পর এক দুর্ঘটনার স্মৃতি টাটকা। এই পরিস্থিতিতে প্রাণহানি রুখতে এবার এক অভিনব দাওয়াই নিয়ে হাজির হলো জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ।

নিশুতি রাতে পুলিশের মানবিক রূপ: সন্ধ্যার পর থেকেই জাতীয় সড়কে ঘন কুয়াশার চাদর বিছিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় দূরপাল্লার লরি ও ট্রাক চালকদের তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব কাটাতে এবং তাঁদের চনমনে রাখতে গরম জল ও ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মাঝরাতে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ‘উষ্ণতার ফেরিওয়ালা’র মতো চালকদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিচ্ছেন ট্রাফিক কর্মীরা। তাঁদের লক্ষ্য একটাই—কনকনে ঠান্ডায় চালকরা যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থেকে গাড়ি চালাতে পারেন।

সচেতনতামূলক পরামর্শ: চায়ের আড্ডার মাঝেই চালকদের ট্রাফিক নিয়ম নিয়ে সতর্ক করছে পুলিশ। কুয়াশার মধ্যে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখা, গতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি রাস্তা ও ডুয়ার্সের মোড়গুলোতে যেখানে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য, সেখানে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

স্বস্তিতে চালকরা: পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি দূরপাল্লার চালকরাও। তাঁদের মতে, ঠান্ডায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালালে শরীর অবসন্ন হয়ে আসে, সেই সময় এক কাপ গরম চা মহৌষধের মতো কাজ করছে। জলপাইগুড়ি পুলিশের এই মানবিক ও কৌশলী পদক্ষেপ দুর্ঘটনা কমাতে বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy