শনিবার মালদা সফরে এসে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ শানালেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে নারী নিরাপত্তা এবং ভোটার তালিকায় কারচুপি—একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও শুভেন্দুর সভা প্রসঙ্গে: চাচলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে পুলিশের টালবাহানাকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ আছে কোথায়? তারা তো সব পিসি আর ভাইপোর বাড়ি পাহারা দিতে ব্যস্ত! পুলিশ অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করব। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।”
অনুপ্রবেশ ও CAA নিয়ে বার্তা: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে সুকান্তবাবু স্পষ্ট জানান, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পর্যন্ত অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “যাঁরা হিন্দু উদ্বাস্তু হিসেবে এ দেশে এসেছেন, তাঁরা সিএএ (CAA)-র মাধ্যমেই নাগরিকত্ব পাবেন। এটা আইনসভার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”
ভোটার তালিকায় গরমিল ও চুরির পাঁচালী: ভোটার তালিকার খসড়া বা এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল জালিয়াতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিএলও-রা ইচ্ছেমতো নাম বাদ দিচ্ছেন বা রাখছেন। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পাঁচালী’ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা ছোটবেলায় লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়তাম যা অত্যন্ত পবিত্র। আর তৃণমূল সেটাকে ‘চুরির পাঁচালী’তে পরিণত করেছে। ওদের নেতারা কী কী চুরি করেছে, তা গ্রামের শিশুরাও জানে।”
মুসলিম সম্প্রদায় ও নারী নিরাপত্তা: রাজ্যের মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন যে, যতদিন তাঁরা কেবল ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহৃত হবেন, ততদিন তাঁদের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। একইসঙ্গে বাসন্তীতে বোমার আঘাতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরীর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত রসিকতা করে বলেন, “মুখ ফস্কে হয়তো সত্যিটাই বলে ফেলেছেন মন্ত্রী মশাই।”