দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে অবশেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেয় লাখো জনতা। বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ পর্যন্ত এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। সেখানে এক বিশাল মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারেক রহমান ঘোষণা করেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, “আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি।”
নিজের ১৬ মিনিটের ভাষণে তারেক রহমান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, ২০২৪-এর ৫ আগস্ট তেমনি সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম সরাসরি উচ্চারণ না করলেও গত ১৫ বছরের শাসনকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে আখ্যা দেন তিনি। শহীদ ছাত্রনেতা ওসমান হাদির আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে ধৈর্য ধরার এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। একটি বৈষম্যহীন, নিরাপদ ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিরাপদ থাকবে।” ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় নির্বাচনের মুখে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।