ওড়িশার কান্ধামাল জেলায় বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার চাকাপাদ থানা এলাকার গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে চার শীর্ষ মাওবাদী নেতার। এদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম হলো গণেশ উইকে। ৬৯ বছর বয়সী এই দুর্ধর্ষ মাওবাদী নেতা ওড়িশায় নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের প্রধান ছিলেন। তাঁর মাথার ওপর ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওড়িশা পুলিশ, এসওজি (SOG), সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিএসএফ (BSF)-এর ২৩টি দল যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান চালায়। ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে গণেশ উইকে ছাড়াও আরও দু’জন নারী ও একজন পুরুষ মাওবাদী রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি .৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গণেশ উইকে ছাড়া বাকিদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে বারি ওরফে রাকেশ এবং অমৃত নামে দুই শীর্ষ ক্যাডারও রয়েছে।
বিগত দু’বছরে নকশালবিরোধী অভিযানে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালেই এখনও পর্যন্ত ২৮৪ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। শুধু এনকাউন্টার নয়, সরকারের ‘পুনা মার্গেম’ এবং ‘মাড় বাঁচাও অভিযান’-এর মতো উদ্যোগের ফলে মাওবাদীদের শক্তিক্ষয় হচ্ছে এবং রেকর্ড সংখ্যক ক্যাডার আত্মসমর্পণ করছে। ওড়িশার এই সাফল্য মাওবাদী প্রভাব নির্মূল করার পথে এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।