পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু তার মাঝেই ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া ওবিসি (OBC) শংসাপত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। এই শংসাপত্রগুলি ভোটার তালিকায় প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না, সেই বিষয়ে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারতের নির্বাচন কমিশনকেই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ: গত বছর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর রাজ্যে ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, এই বাতিল শংসাপত্রগুলি ভবিষ্যতে আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে ভোটার তালিকার নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কমিশন যে ১৩টি নথির তালিকা দিয়েছে, তাতে ওবিসি শংসাপত্রও অন্তর্ভুক্ত। এই বৈপরীত্য নিয়েই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
বিচারপতি কৃষ্ণা রাও স্পষ্ট জানিয়েছেন, কমিশনের শুনানিতে এই ওবিসি সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে কি না, তা কমিশনকেই ঠিক করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা কারণসহ মামলাকারীদের জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পটভূমি: হাইকোর্ট ওবিসি তালিকা বাতিলের পর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের নতুন ওবিসি বিজ্ঞপ্তির ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে ভোটার তালিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাতিল হওয়া নথি ব্যবহার করা আইনত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনের উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ ওবিসি আবেদনকারীর ভাগ্য।