ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে ফের রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। কট্টরপন্থী ছাত্র সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় উত্তাল ঢাকা। গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হাদির। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বিক্ষোভকারীরা ঢাকার উদীচী, ছায়ানট এবং ‘প্রথম আলো’র অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিহতের দাদা আবু বকর। হাদির শেষকৃত্যে তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, “নির্বাচন বাতিল করার লক্ষ্যেই ষড়যন্ত্র করে ওসমানকে খুন করিয়েছে এই সরকার।” ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যদি বিচার না মেলে তবে পূর্বতন সরকারের মতো বর্তমান সরকারকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে হাদির বড় ভূমিকা ছিল। এখন তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও আসন্ন নির্বাচন বড়সড় অনিশ্চয়তার মুখে।