দুধকে আদর্শ খাবার বলা হলেও সবার শরীরে তা সহ্য হয় না। ভারতে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের দুধে অ্যালার্জি বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে, যার ফলে পেটে ব্যথা, গ্যাস বা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে গরুর দুধে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং ভেজালের আতঙ্ক বিকল্প খাবারের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়েও ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিকল্প হিসেবে দই অত্যন্ত কার্যকর, যা হজমে সহায়তা করে। এছাড়া কাঠবাদামের দুধ (Almond Milk) ক্যালরি ও কোলেস্টেরলমুক্ত হওয়ার কারণে দিনের শুরুতে আদর্শ পানীয় হতে পারে। প্রোটিনের অভাব মেটাতে সয়া মিল্ক গরুর দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর; এতে থাকা লেসিথিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি ব্রকোলিতে দুধের তুলনায় বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। তাই দুধ পানে সমস্যা হলে দই, সয়া মিল্ক বা কাঠবাদাম দুধ হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের সেরা সঙ্গী।