বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দীপু দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল কলকাতার রাজপথ। বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে শিয়ালদা থেকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন পর্যন্ত আয়োজিত এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বেকবাগান চত্বরে। ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার সনাতনী ও সাধু-সন্তরা। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলা অমানুষিক নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু হাই কমিশনের সামনে পৌঁছানোর আগেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
পুলিশি এই ‘বর্বর’ অ্যাকশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর লাঠি চালিয়ে রাজ্য সরকার আসলে মৌলবাদীদেরই পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই প্রতিবাদস্থলে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের এই ভূমিকার কড়া নিন্দা জানিয়ে তিনি রাজপথেই অবস্থানে বসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকা এখনও যথেষ্ট থমথমে।