সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিশ দেখতে পান শ্রমিকরা। নোটিশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কাঁচা পাটের জোগান না থাকা এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মিলটি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যতদিন কারখানা বন্ধ থাকবে, ততদিন অস্থায়ী শ্রমিকরা কোনও মজুরি পাবেন না। এই খবর চাউর হতেই জুটমিল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বন্ধের নেপথ্যে বাংলাদেশ বিতর্ক: চটশিল্প মহলের মতে, কাঁচা পাটের এই সংকটের মূলে রয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা। ভারত ও বাংলাদেশ পাটের ব্যবসার ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক। ঢাকা সম্প্রতি কাঁচা পাট রফতানিতে রাশ টানায় ভারতীয় বাজারে পাটের দাম হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চটকল মালিকদের সংগঠন (IJMA) ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
শ্রমিকদের ক্ষোভ ও চক্রান্তের অভিযোগ: শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, শনিবার রাত পর্যন্ত ঠিকঠাক কাজ চলল, অথচ সোমবার হঠাৎ কোনও আলোচনা ছাড়াই কেন নোটিশ ঝোলানো হল? শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিনয়কুমার মণ্ডলের মতে, এর পিছনে মালিকপক্ষের গূঢ় চক্রান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।