নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সক্রিয় হলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভোটার তালিকার শুনানি এবং নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতে নথিপত্রের অভাব না হয়, তার জন্য কলকাতা পুরসভাকে (KMC) ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেয়রের প্রধান ঘোষণাগুলি:
-
ডোমিসাইল সার্টিফিকেট: আগে এই সার্টিফিকেট টাউন হল থেকে দেওয়া হত। এবার থেকে কলকাতা পুরসভার হেড অফিস থেকেই এই ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে।
-
বয়স্কদের জন্য সুবিধা: যে সমস্ত বয়স্ক মানুষ পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে আসতে পারবেন না, তাঁরা নিজেদের বরো অফিসে আবেদন জমা দেবেন। বরো অফিস সেই নথি নিয়ে হেড অফিসে কাজ করিয়ে আবার তা বরো অফিসে পৌঁছে দেবে, যেখান থেকে শংসাপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
-
জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র (Birth & Death Certificate): যাদের পুরনো বার্থ বা ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য প্রয়োজন, তাদের সহায়তার জন্য পুরসভায় অন্তত ২০টি বিশেষ কাউন্টার খোলা হচ্ছে। ১ বছরের কম সময়ের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও পুরনো রেকর্ডের জন্য এখান থেকে সাহায্য মিলবে।
-
পরিষেবার সময়সীমা: মেয়র জানিয়েছেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এই সমস্ত পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
কেন এই পদক্ষেপ? এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় বহু মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে বা ভুল থাকছে বলে অভিযোগ উঠছিল। শুনানির সময় ডোমিসাইল বা বার্থ সার্টিফিকেটের মতো জরুরি নথি না থাকায় সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এই হয়রানি রুখতেই পুরসভা প্রশাসনিক স্তরে এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল।