খাঁচায় বাঘ না বাঘরোল? অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে যখন আতঙ্ক, তখনই বাঁকুড়ায় মাতল বিহু নৃত্যে

বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে এবার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল রাঙামাটির সংস্কৃতি আর ব্রহ্মপুত্রের তীরের বিহু। খাতড়ার ‘ইচ্ছেডানা সাংস্কৃতিক পরিবার’-এর উদ্যোগে খাতড়ায় আয়োজিত হল এক বর্ণাঢ্য বিহু কর্মশালা। এই প্রথম জঙ্গলমহলে এত বড় আকারে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য প্রশিক্ষণের আসর বসল। তিন দিনের এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন খাতড়া থানার আইসি সমিত ভট্টাচার্য।

সুদূর অসমের বঙাইগাঁও থেকে খাতড়ায় এসেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৪ জন বিহু শিল্পী। প্রশিক্ষকদের তালিকায় রয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী মাস্টার ট্রেনার তথা নৃত্যবিভূষণ বিধান দেউরী। এছাড়াও রয়েছেন মালিচরণ রায়, দেবিকা রায় ও দীপাঞ্জলি সিংহের মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা। বাঁকুড়ার স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে বিহু নাচের তাল ও লোকবাদ্যের খুঁটিনাটি শেখাচ্ছেন তাঁরা।

তবে একদিকে যখন এই সাংস্কৃতিক চর্চা চলছে, অন্যদিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল জুড়ে দানা বেঁধেছে বাঘের আতঙ্ক। সিমলাপালের বন দুবরাজপুর ও বিক্রমপুর এলাকার আলু ক্ষেতে দেখা গিয়েছে বড় আকারের অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। গত বছর ঠিক এই সময়েই ওড়িশার সিমলিপাল থেকে আসা এক বাঘিনী ধরা পড়েছিল এই জেলায়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকলেও, বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান পায়ের ছাপগুলি আসলে বাঘরোল বা মেছো বিড়ালের। পায়ের ছাপের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy