পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের তেলকুপি। যেখানে ইতিহাস আর আধ্যাত্মিকতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। পৌষ মাসের অমাবস্যা উপলক্ষে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন মহাকালীর পুজোয় মেতে উঠলেন হাজার হাজার মানুষ। তবে এই পুজোর প্রেক্ষাপট আর পাঁচটা জায়গার চেয়ে একদম আলাদা। বিশাল জলাধারের ঠিক মাঝখানে আংশিকভাবে ডুবে থাকা এক প্রাচীন মন্দিরই এই পুজোর প্রাণকেন্দ্র।
১৯৫৬ সালে ডিভিসি বাঁধ নির্মাণের সময় তেলকুপির বহু প্রাচীন স্থাপত্য জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কালের নিয়মকে হার মানিয়ে আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দিরটি। ভক্তরা নৌকা করে জলাধারের মাঝখানে গিয়ে মায়ের পুজো দেন, যা এই উৎসবকে এক অনন্য পরিচিতি দিয়েছে। পুজো কমিটির সদস্য পবিত্র চক্রবর্তী জানান, পুজোর মূল আকর্ষণ হলো বিশাল মেলা এবং মায়ের ভোগ হিসেবে খিচুড়ি প্রসাদ। সেবায়েত শিবদাস হাজরার মতে, জলমগ্ন এই মন্দিরটি আজও পুরুলিয়ার সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের জীবন্ত দলিল। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ও ভক্তরা এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে ভিড় জমাচ্ছেন তেলকুপিতে।