খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাহেরপুরের সভায় পৌঁছাতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কুয়াশার কারণে চপার অবতরণ করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়ালি বা টেলিফোনের মাধ্যমেই বক্তব্য রাখেন তিনি। শুরুতেই চৈতন্যদেব, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চরণে প্রণাম জানিয়ে বাংলার ভাবাবেগকে ছুঁয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তবে আধ্যাত্মিকতার সুরের পরেই রাজনৈতিক আক্রমণে চড়ান সুর।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ‘মহা জঙ্গলরাজ’-এ পরিণত হয়েছে। বিহারে যেভাবে মানুষ জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলে বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে, বাংলাতেও সেই একই পরিবর্তন দরকার। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, “মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে বাংলার উন্নয়ন আটকে দেবেন না। এখানকার সরকার সব কিছুতেই কমিশন চায়, তাই উন্নয়নের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প থমকে রয়েছে।”
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় বিঁধে মোদী বলেন, “ওরা অনুপ্রবেশকারীদের পছন্দ করে কারণ তারা বাংলা দখল করতে চায়। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে বাংলায় এসআইআর-এর বিরোধিতা করছে তৃণমূল।” ত্রিপুরার উদাহরণ টেনে তিনি দাবি করেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার এলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে রকেটের গতিতে। সবশেষে ‘জয় নিতাই’ ও ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, খুব শীঘ্রই তিনি সশরীরে ফের বাংলার মানুষের কাছে আসবেন।