এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসে এবার জন্মহার বাড়াতে এক নজিরবিহীন পথে হাঁটল চিন। প্রায় তিন দশক পর বড়সড় নীতিগত পরিবর্তন এনে গর্ভনিরোধক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (VAT) আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কন্ডোম-সহ সমস্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ওপর চিনা নাগরিকদের ১৩ শতাংশ কর দিতে হবে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৩ সাল থেকে চিনে এই পণ্যগুলো করমুক্ত ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের সংশোধিত ভ্যাট আইনে কৃষিপণ্য বা চিকিৎসা পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হলেও, সুকৌশলে বাদ রাখা হয়েছে গর্ভনিরোধক সামগ্রীকে। চিনের এই পদক্ষেপ আসলে তাদের গভীর জনসংখ্যাগত সংকটেরই প্রতিফলন। বর্তমানে চিনের প্রজনন হার (Fertility Rate) মাত্র ১.০, যা জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ২.১-এর চেয়ে অনেক কম।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে চিনে জন্মহার ঐতিহাসিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। শ্রমবাজারের সংকট এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতিতে ধস নামার আশঙ্কা করছে শি জিনপিং প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই নগদ অর্থ সাহায্য এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার গর্ভনিরোধক সামগ্রী দামী করে নাগরিকদের সন্তান ধারণে পরোক্ষভাবে বাধ্য করার এই কৌশল বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।