মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে এখন টানটান উত্তেজনা। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আগামী ২২ ডিসেম্বর বেলডাঙার মির্জাপুরে এক বিশাল জনসভার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। হুমায়ুনের দাবি, স্বাধীনতার পর মুর্শিদাবাদে এত বড় জনসভা আর কখনও হয়নি।
নতুন দল ও ২০২৬-এর লক্ষ্য: হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২২ ডিসেম্বরের মঞ্চ থেকেই তিনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবেন। তাঁর লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সমর্থকদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বাস ও ট্রেনের ‘রোড ম্যাপ’ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলকে তোপ: শাসকদলকে আক্রমণ করে হুমায়ুন বলেন, “তোলাবাজি, দুর্নীতি আর চাকরি বিক্রির জবাব ওইদিন জনসভা থেকেই দেওয়া হবে। তৃণমূলের সমস্ত কুকীর্তি আমি ফাঁস করে দেব।” তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে তিনবার জেতালেও মানুষ শুধু ছলচাতুরিই পেয়েছে।
বাবরি মসজিদ ও আবেগ: মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের আবেগকে উসকে দিয়ে হুমায়ুন ঘোষণা করেছেন, আগামী নির্বাচনে তাঁকে ১০০টি আসন দিলে তিনি প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরি করবেন। শুধু তাই নয়, মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি বিশাল ইসলামিক হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, এটি হলে চিকিৎসার জন্য মানুষকে আর ভিনরাজ্যে দৌড়াতে হবে না।
ইতিমধ্যেই রেজিনগরে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের স্থানে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে মানুষের ঢল নামছে। মালদা থেকেও মানুষ পতাকা হাতে সেখানে পৌঁছাচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন যে ওই এলাকায় রাতারাতি ১০টির বেশি হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।