“উন্নয়নকে রাজনীতির সঙ্গে মেলাবেন না”, প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে কেন এমন মন্তব্য দিলীপ ঘোষের?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গ সফরকে ঘিরে যখন সাজ সাজ রব, ঠিক তখনই রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে শুধুমাত্র ‘উন্নয়নমূলক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে, আজ তাহেরপুরের সভায় দিলীপ ঘোষকে আদৌ প্রথম সারিতে দেখা যাবে কি না।

মোদীর সফর ও পরিকাঠামো উন্নয়ন: শনিবার দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত করা ভুল। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সারা দেশেই উন্নয়নমূলক কাজের পর্যালোচনার জন্য যান।” এই প্রসঙ্গে বারাসাত থেকে বড়াজাগুলি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আটকে থাকা রাস্তার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি সরাসরি রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। জমিজট কাটিয়ে এই রাস্তা তৈরি হলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলেই দাবি তাঁর।

দিলীপের উপস্থিতিতে অনিশ্চয়তা: আশ্চর্যের বিষয় হলো, শনিবার সকাল পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে। সেখান থেকেই তিনি মোদীকে স্বাগত জানালেও নিজের উপস্থিতির বিষয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির কোনো পদে না থাকায় এবং গত জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর দুটি জনসভা এড়িয়ে যাওয়ায় এবারও তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আমন্ত্রণ না পেলে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের ঠাঁই হতে পারে সাধারণ দর্শক আসনে।

কোনঠাসা মেদিনীপুরের ‘দাদা’: লোকসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত কোণঠাসা দিলীপ ঘোষ। বিশেষ করে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে দলের অন্দরে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে। শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরও দিলীপের ‘একাকীত্ব’ ঘোচেনি। এখন দেখার, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তিনি ডাক পান নাকি আবারও ‘ব্যক্তিগত কাজে’র অজুহাতে অনুপস্থিত থাকেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy