অনেকে ডায়েট করেও কেন খিদে সামলাতে পারেন না? কেন সামান্য খেয়েই কারও পেট ভরে যায়, আর কেউ গপগপ করে খেয়েও তৃপ্ত হন না? উত্তরটা লুকিয়ে আছে আমাদের শরীরেরই এক ক্ষুদ্র প্রোটিনে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন যে, ‘MRAP2’ নামক একটি বিশেষ প্রোটিন আমাদের ক্ষুধার সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে। এই আবিষ্কার স্থূলতা বা স্থূলত্বের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে ‘MC3R’ নামক একটি রিসেপ্টর থাকে যা শরীরকে জানায় কখন খেতে হবে আর কখন শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। কিন্তু এই রিসেপ্টরটি একা কাজ করতে পারে না। তার প্রয়োজন হয় ‘MRAP2’ নামক এক সহযোগীর। যখন এই দুটি প্রোটিন সঠিক ভারসাম্যে থাকে, তখন পেট ভরে গেলেই মস্তিষ্ক সংকেত পায়। কিন্তু যাদের শরীরে এই প্রোটিন ঠিকমতো কাজ করে না, তাদের ক্ষুধার সংকেত দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পেট ভরা থাকলেও বারবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়।
প্রধান গবেষক ডঃ ক্যারোলিন গারবিনের মতে, এই জেনেটিক পার্থক্যই অনেকের ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ। ‘সায়েন্স সিগন্যালিং’ জার্নালে প্রকাশিত এই তথ্য ভবিষ্যতে এমন স্মার্ট ড্রাগ বা থেরাপি তৈরিতে সাহায্য করবে, যা সরাসরি ক্ষুধার সংকেতকে শক্তিশালী করবে। অর্থাৎ, স্রেফ ইচ্ছাশক্তির জোরে নয়, বরং কোষীয় স্তরে খিদে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব হবে।