প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে অস্থিরতার আবহে এবার সরাসরি নিশানায় ভারতীয় হাই কমিশন। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের ভারতীয় কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলোতে বড়সড় হামলার ছক কষছে কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠনগুলো। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুধু সাধারণ হুমকি নয়, রীতিমতো প্রশিক্ষিত জিহাদিদের নিয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে।
নাশকতার মূল কারিগর কারা? গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এই ভয়ানক হামলার নেপথ্যে রয়েছে জামাত-ই-ইসলামী, আনসার-আল-ইসলাম এবং হিজবুত-তহরীরের মতো নিষিদ্ধ ও উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো। সূত্রের দাবি, প্রায় ১০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র জিহাদিকে এই অভিযানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মূল লক্ষ্য ভারতীয় দূতাবাসে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
চক্রান্তের ভয়ংকর রূপ: প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা শুধুমাত্র হাই কমিশন চত্বরে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষান্ত হবে না। তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে:
শারীরিক হেনস্থা: ভারতীয় উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ঘেরাও করে তাদের ওপর শারীরিক হামলা চালানো।
অগ্নিসংযোগ: দূতাবাসে ঢুকে নথিপত্র নষ্ট করা এবং গোটা দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো নাশকতামূলক ছক।
আন্তর্জাতিক চাপ: ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে স্থায়ী ফাটল ধরাতেই এই ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।
মদত দিচ্ছে কারা? সূত্রের খবর, এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে পেছন থেকে মদত দিচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল ও বিদেশি শক্তির একাংশ। বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বাংলাদেশে ভারতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করতে চাইছে।
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ: এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় হাই কমিশন ও এর আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দূতাবাস সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বলয় আরও কঠোর করা হয়েছে।
পরিস্থিতি যে কোনো সময় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওপার বাংলার এই উত্তাল আবহে ভারতীয় নাগরিকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।