নিয়োগ জট এবং আইনি লড়াইয়ের মাঝেই রাজ্যের ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের জন্য এল বড়সড় স্বস্তির খবর। ৩১ ডিসেম্বর তাঁদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সময়সীমা এক ধাক্কায় আরও আট মাস বাড়ানো হলো। আগামী বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ওই শিক্ষকরা নিজেদের পদে বহাল থাকতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল যে, একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ চলে গেলে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। রাজ্যে বর্তমানে শিক্ষক পদের অভাব এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় থমকে থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই আর্জি জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকারের এই ‘পঠনপাঠন ও শিক্ষক ঘাটতি’র যুক্তি মেনে নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মূল পয়েন্ট:
সময়সীমা বৃদ্ধি: যোগ্য শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে বাড়িয়ে ৩১ অগস্ট (২০২৬) করা হয়েছে।
বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ: বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও অলক আরাধের বেঞ্চ মনে করছে, প্রশাসনিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে এই সময় বৃদ্ধি জরুরি ছিল।
যোগ্য বনাম অযোগ্য: এই সুবিধা শুধুমাত্র সেই শিক্ষকদের জন্যই প্রযোজ্য হবে যাদের নিয়োগে কোনো আইনি ত্রুটি নেই এবং যারা ‘যোগ্য’ হিসেবে বিবেচিত।
শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়ে বা নতুন সেশন শুরুর মুখে শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ার যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, এই রায়ের ফলে তা আপাতত প্রশমিত হলো। স্কুলগুলোতে কর্মীর অভাব মেটাতে এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হওয়া পর্যন্ত এই আট মাস সময় রাজ্যের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
আইনি লড়াইয়ের লম্বা ময়দানে এই রায়কে রাজ্যের জন্য একটি বড় জয় হিসেবেই দেখছে প্রশাসনিক মহল।