মুর্শিদাবাদে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা হুমায়ুন কবীর ঘোষিত বিতর্কিত বাবরি মসজিদ স্থাপনের কর্মসূচির ওপর আইনি বাধা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হলেও, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের ওপর বর্তায়।
আদালতের অবস্থান এবং চাঞ্চল্য:
দেশের আদালতের সাধারণ নীতি অনুযায়ী এই অবস্থান কার্যকর হলেও, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এটি যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বিচারপতিরা মামলার শুনানিতে উল্লেখ করেন, আদালতের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আইন প্রয়োগ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আদালত সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে কর্মসূচি চলাকালে সাধারণ মানুষ এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখা।
মুর্শিদাবাদে কঠোর নিরাপত্তা:
হুমায়ুন কবীরের এই কর্মসূচি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সংবেদনশীল। মুর্শিদাবাদ এলাকায় এমন কর্মকাণ্ড ইতিপূর্বে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এই কারণে, আদালতের হস্তক্ষেপের অভাব সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন মুর্শিদাবাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছে এবং ৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক চাপ:
হুমায়ুন কবীরের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারকে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য সরকারের উচিত সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে কোনো ধরনের অশান্তি না ঘটে।