দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে, এই সাসপেনশনের নেপথ্যে কোনো ‘দলবিরোধী কাজ’ নয়, বরং তৃণমূলের নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল ও নাটক লুকিয়ে রয়েছে।
সাসপেনশনের আসল কারণ খোলসা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হুমায়ুন কবীরের সাসপেনশনটা একটা সাজানো নাটক। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ নেই। এটা একটা লোক দেখানো সাসপেনশন, যার মাধ্যমে শাসকদল দুটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাইছে।”
শুভেন্দু অধিকারীর মতে, প্রথমত, তৃণমূল দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে নিজেদের কঠোরতা দেখাতে চাইছে। দ্বিতীয়ত, এবং এটিই গুরুত্বপূর্ণ, হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড দেখিয়ে তৃণমূল তাঁকে সম্ভবত অন্য কোনও রাজনৈতিক কাজ বা বৃহত্তর কৌশলের জন্য প্রস্তুত করছে। শুভেন্দু অধিকারীর ইঙ্গিত, এই সাসপেনশন আসলে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার অংশ, যেখানে হুমায়ুন কবীর এখনও তৃণমূলের ‘আঁতাত’ বা যোগাযোগের মধ্যেই আছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের সাসপেনশন তৃণমূল প্রায়শই রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এর মাধ্যমে তৃণমূল দেখাতে চায় যে তারা কঠোরভাবে দল চালাচ্ছে, কিন্তু পর্দার আড়ালে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সাসপেনশনের আসল কারণ দলীয় শৃঙ্খলা না কৌশল, তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা চলছে।