আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা সেতারবাদক অনুষ্কা শঙ্কর সম্প্রতি এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন। দীর্ঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তাঁর প্রিয় সেতারের যে পরিণতি হয়েছে, তা দেখে তিনি ক্ষোভ ও অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন।
দু’টুকরো সেতার ও বিস্ফোরিত বাক্স:
বিমানে ওঠার সময় অনুষ্কা নিজের বাদ্যযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে অতিরিক্ত ‘হ্যান্ডলিং চার্জ’ মিটিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি পৌঁছে বাক্স খুলতেই দেখা যায় সেতারটির ভয়াবহ দুরবস্থা।
ক্ষয়ক্ষতি: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সেতারটির দেহ প্রায় দু’টুকরো হয়ে গেছে।
বাক্সের অবস্থা: যে শক্তপোক্ত বাক্স সেতারকে রক্ষা করার কথা ছিল, সেটিও ‘বিস্ফোরিত চেহারায়’ ভেঙে পড়েছে।
শিল্পীর তীব্র প্রতিক্রিয়া:
এই নৃশংস অবহেলা দেখে হতচকিত অনুষ্কা শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে, বছরের পর বছর নানা আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার ভরসায় তিনি নিজের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ঘোরেন, কিন্তু এমন নিষ্ঠুর ক্ষতির অভিজ্ঞতা তাঁর আগে কখনও হয়নি।
অনুষ্কার প্রশ্ন:
“ইচ্ছাকৃত অবহেলা ছাড়া এমন বিপর্যয় কীভাবে সম্ভব? ভারতীয় সুরের এমন এক ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র তাদের কাছে এতটাই অসুরক্ষিত?”
অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। আলাদা করে টাকা নেওয়ার পরেও কেন এই অবহেলা—এই প্রশ্নও শিল্পী তোলেন সরাসরি। যদিও এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সাফল্যের মুখে নিরাপত্তাহীনতার ছায়া:
অনুষ্কার কথায়, সেতারটি হাতে নিয়ে টিউন করতে গিয়ে তিনি আসল বিপর্যয় বুঝতে পারেন। সুর তো হারিয়েছেই, বাদ্যযন্ত্রের উপকরণেও লেগে আছে গভীর ক্ষতের দাগ।
অদ্ভুত এই অভিজ্ঞতার মাঝেই বড় খবর—গত মাসেই তিনি ৬৮তম গ্র্যামিতে একাধিক বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন। সুরের জগতে নতুন সাফল্যের সামনে দাঁড়িয়েই তাঁকে এখন নিরাপত্তাহীনতার এই ছায়া ভাবাচ্ছে। আগামী বছর ভারতে ছ’টি শহরে তাঁর একক অনুষ্ঠান রয়েছে। তাঁর মনে এখন একটাই আশঙ্কা—যদি আবার এমন কিছু ঘটে?