বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা টানাপড়েন এবার চরম আকার ধারণ করল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ সফরের দিনই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানান, “দলবিরোধী কাজ করার জন্য ভরতপুরের বিধায়ককে সাসপেন্ড করছে তৃণমূল।”
নেত্রীর সভাস্থলেই সাসপেনশনের খবর
ঘটনাচক্রে, সকালে হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেত্রীর জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখে তিনি প্রথম জানতে পারেন যে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যত ক্ষুব্ধ হুমায়ুন কবীর জনসভার স্থল থেকে বেরিয়ে যান।
পাল্টা ঘোষণা: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ও নতুন দল
সাসপেনশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবীরও পাল্টা বোমা ফাটান। তিনি দল গড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি আগামীকালই (শুক্রবার) দল ছাড়বেন। ভরতপুরের বিধায়ক অভিযোগ করেন, “আমাকে ডেকে এনে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি জানান, তিনি আগামীকালই রিজাইন করবেন এবং আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দল করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
দীর্ঘদিন ধরেই হুমায়ুন কবীর প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করে আসছিলেন এবং পৃথক দল তৈরির হুঁশিয়ারিও দিচ্ছিলেন। কিন্তু গত বুধবার তাঁর একটি মন্তব্য চূড়ান্ত বিতর্ক সৃষ্টি করে—যেখানে তিনি ৬ ডিসেম্বর NH-34 ‘দখল’ করার হুমকি দেন। এই ঘটনায় দল তীব্র অস্বস্তিতে পড়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে সাসপেন্ড করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল।