বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং জনপ্রিয় ছবি ‘কান্তারা’-এর একটি দৃশ্যের অনুকরণ (মিমিক্রি) করার জেরে এবার আইনি বিপাকে পড়েছেন। ঐতিহ্যবাহী তুলু দৈব-উপাসনা (Daiva) প্রথাকে অপমান করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ডস থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
⚖️ অভিযোগ ও আইনি পদক্ষেপ:
কর্ণাটক হাইকোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত মেথাল রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি:
অবমাননা: রণবীর মঞ্চে পবিত্র দৈব প্রথাকে উপহাস করেছেন, যা তুলুভাষী সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে ‘গভীর আঘাত’ হেনেছে।
ধর্মীয় অসম্মান: অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিনেতার পানজুরলি/গুলিগা দৈবের বিকৃত রূপায়ণ ছিল ‘অবমাননাকর ও হাস্যকর’। রণবীর দৈবকে “ভূত” হিসেবে উল্লেখ করায় এটি ধর্মদ্রোহী ও হিন্দু বিশ্বাসকে অসম্মান করেছে।
মামলার ধারা: আইনজীবী মেথাল অভিনেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সম্প্রদায়গুলির মধ্যে শত্রুতা বাড়ানো এবং ইচ্ছাকৃত অপমানের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
🎬 বিতর্কের সূত্রপাত:
বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল গোয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI)-এর একটি অধিবেশনে। ‘কান্তারা’ ছবির পরিচালক ঋষভ শেঠির সঙ্গে রসিকতা করার সময় রণবীর সিং জনপ্রিয় চাউন্ডি মুহূর্তটি অনুকরণ করেন। তিনি গুলিগা দৈবের বোন চাউন্ডিকে “মহিলা ভূত” বলে মঞ্চে চরিত্রটি নকল করেন।
বাঁকা চোখ ও জিহ্বা বের করে তিনি যখন অনুকরণটি পরিবেশন করেন এবং রসিকতা করেন যে, “এখানে কেউ কি আমাকে কান্তারা ৩-এ দেখতে চান? এই লোকটাকে বলুন,” তখনই ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
🙏 ক্ষমা চেয়েও লাভ হলো না:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে কয়েক ঘণ্টা ধরে ট্রোলিংয়ের পর রণবীর সিং তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন:
“আমার উদ্দেশ্য ছিল ঋষভের অবিশ্বাস্য অভিনয়কে তুলে ধরা। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি জানি, ওই বিশেষ দৃশ্যটি তিনি যেভাবে অভিনয় করেছেন, তা করতে কতটা পরিশ্রম লাগে, যার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রশংসা রয়েছে।”
“আমি সর্বদা আমাদের দেশের প্রতিটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। যদি আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”
তবে ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি, বরং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ায় বিষয়টি আরও গুরুতর মোড় নিল।