অরেঞ্জ লাইনের কাজ থমকে! রেলমন্ত্রীর নিশানায় তৃণমূল সরকার: ‘নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো ফেঁসেছে জমিজটে, সহযোগিতা করছে না রাজ্য’

মেট্রো প্রকল্পের কাজ থমকে থাকা নিয়ে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করলেন রেলমন্ত্রী। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী সরাসরি রাজ্যের একাধিক থমকে থাকা মেট্রো প্রকল্পের জন্য জমি ও অনুমোদনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

রেলমন্ত্রীর অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে অরেঞ্জ লাইন (নিউ গড়িয়া থেকে দমদম এয়ারপোর্ট)। বর্তমানে এই লাইনে নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত পরিষেবা চালু রয়েছে। বেলেঘাটা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২২.২ কিমি অংশে পরিষেবা দ্রুত শুরু করার জন্য জোরকদমে কাজ চলছে। কিন্তু রেলমন্ত্রীর দাবি, চিংড়িঘাটার ছোট্ট একটি কাজের জন্য গত ১০ মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না।

‘জমিজটের জন্য ফেঁসেছে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রোও’

রেলমন্ত্রী একইসাথে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো (ইয়েলো লাইন) সম্প্রসারণের কাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, এই কাজেও জমিজট এবং জবরদখলের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতা মিলছে না।

প্রস্তাবিত ১৮ কিমি নোয়াপাড়া থেকে বারাসত মেট্রো লাইনে, ৬.৭৭ কিমি অংশে (নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট) ইতিমধ্যেই পরিষেবা চালু হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে মাইকেলনগর পর্যন্ত কাজ চললেও, নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত ৭.৫ কিমি অংশের কাজ জমিজটের কারণে থমকে আছে।

হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল নির্মাণকারী সংস্থা

এদিকে, অরেঞ্জ লাইনে থমকে থাকা কাজ শুরু করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে বেলেঘাটা এবং গৌরকিশোর ঘোষ স্টেশনের মধ্যবর্তী চিংড়িঘাটার অসম্পূর্ণ কাজ শুরু করার অনুমতি না মেলায় নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আবেদনকারীদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও, রাজ্য সরকার এবং পুলিশ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সময় পেরিয়ে গেছে। নভেম্বরে কাজ শুরুর কথা থাকলেও প্রশাসন রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেয়নি। এই অচলাবস্থার জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে আরভিএনএল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy