নদিয়া জেলার নবদ্বীপ এলাকা থেকে আজ দুটি পৃথক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে—একটি সদ্যোজাত শিশুর উদ্ধার এবং অন্যটি রাস্তায় বিপুল সংখ্যক ভোটার আইডি কার্ড উদ্ধার।
১. সদ্যোজাতকে ঘিরে সারমেয়দের রাতভর পাহারা
নবদ্বীপের স্বরুপগঞ্জ পঞ্চায়েতের রেল কলোনি এলাকায় সোমবার ভোর থেকেই একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকালে দেখা যায়, পঞ্চায়েত মেম্বারের কাকার বাড়ির বাথরুমের কাছে একটি সদ্যোজাত শিশু পড়ে আছে।
সারমেয়দের ভূমিকা: জানা গিয়েছে, রাতে পথের সারমেয়রাই শিশুটিকে ঘিরে ছিল এবং সারা রাত পাহারা দিয়েছিল, যার ফলে শিশুটি অক্ষত অবস্থায় ছিল।
উদ্ধার ও ব্যবস্থা: স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
তদন্ত: খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। মেম্বার ও স্থানীয়দের অনুমান, পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কেউ শিশুটিকে রেখে গেছে। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। শিশুটির নাম, পরিচয় বা ঠিকানা কিছুই পাওয়া যায়নি।
২. এসআইআর আবহে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভোটার কার্ড উদ্ধার
অন্য একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, এসআইআর (Special Integrated Revision) সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন নবদ্বীপের প্রতাপনগর এলাকায় রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কয়েকশো ভোটার আই-কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
উদ্ধারের স্থান: নবদ্বীপের প্রতাপনগর মেন রোডের ধারে এই কার্ডগুলি প্রথম স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হলে নবদ্বীপ থানার পুলিশ সমস্ত ভোটার আই-কার্ড উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কার্ডের প্রকৃতি: এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ ভোটার কার্ড নবদ্বীপ এলাকার মানুষেরই, তবে কিছু কার্ড পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বলে জানা গিয়েছে।
ধোঁয়াশা: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাদের কার্ড এখানে পড়ে রয়েছে, তাদের অধিকাংশের কাছেই ইতিমধ্যেই আসল ভোটার আই-কার্ড রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এতগুলি কার্ড কেন, কীভাবে, এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে ফেলে রাখা হলো?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গেরুয়া শিবির নেতৃত্ব গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।