ভারত থেকে বাংলাদেশে ‘তাড়িয়ে দেওয়া’ সোনালি বিবিকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনতেই হবে। বুধবার সোনালি বিবির পুশব্যাক সংক্রান্ত মামলায় এমনই ঐতিহাসিক নির্দেশ দিলো দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব যাচাই এবং পুশব্যাকের কেন্দ্রীয় পদ্ধতি নিয়েও সুপ্রিম কোর্ট আজ কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।
যদিও সুপ্রিম নির্দেশের আগেই কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। এমনকি সোনালি বিবি ও তাঁর এক বছরের শিশু সন্তানের চিকিৎসার সবরকমের দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নাগরিকত্ব যাচাই পদ্ধতি নিয়ে সুপ্রিম প্রশ্ন
বুধবার প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে সোনালি বিবির মামলার শুনানি হয়। শুনানির একটি পর্যায়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলে বিচারপতি সূর্যকান্ত কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেন:
“আমরা আপনাদের কাজে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু আপনাদের পদ্ধতি ঠিক নেই।”
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীও কেন্দ্রের কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “মামলাকারী ভদু শেখ ভারতীয় নাগরিক নন, এ কথা একবারও বলেনি (কেন্দ্র)। অর্থাৎ, ভদু শেখ ভারতীয়। তাঁর সন্তান সোনালিও ভারতীয় নাগরিক হতে পারেন। ভারতের নাগরিকত্বের যে নিয়ম রয়েছে, সেই অনুযায়ী তো আপনারা কাজ করেননি।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
শীর্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়েছে:
ফিরে আসার ব্যবস্থা: ভারতে নিয়ে আসার পর সোনালি বিবি ও তাঁর সন্তানকে বীরভূমের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
চিকিৎসার দায়িত্ব: মানবিক কারণে সোনালি বিবির চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করবে সরকার।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বরের শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, কেন সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া না করেই সোনালি এবং আরও পাঁচ জনকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। তার আগে মামলার যাবতীয় নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।