এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) স্বাস্থ্য এবং এমনকি তাঁর বেঁচে থাকা নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনা-উদ্বেগের অবসান হলো। অবশেষে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হলো তাঁর বোন, ডঃ উজ়মা খানুমকে। ২০ মিনিটের সাক্ষাতের পর তিনি বেরিয়ে এসে জানালেন, ইমরান খান সুস্থ আছেন, তবে তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
শারীরিক সুস্থতা, মানসিক উদ্বেগ
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইমরানের বোন উজ়মা খানুম বলেন,
“ঈশ্বরের কৃপায় ও সুস্থ আছে… কিন্তু ওঁর উপরে চলা মানসিক অত্যাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ। সারাদিন সেলে বন্দি করে রাখা হয় ওঁকে… খুব অল্প সময়ের জন্যই সেল থেকে বেরতে পারে, কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না।”
দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ইমরানের সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল।
দেশের অবস্থার জন্য সেনা প্রধানকে দুষলেন ইমরান
জেলবন্দি ইমরান খান নাকি পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকেই দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন। উজমা খানুমের দাবি অনুযায়ী:
ইমরানের অভিযোগ, আসিম মুনির পাক সেনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন।
সংবিধানে পরিবর্তন করে তিনি নিজেকে, সমস্ত সেনা প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারিকে আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।
বিক্ষোভ ও জল্পনা
ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে লাগাতার জল্পনা রটেছিল যে তিনি জেলেই মারা গিয়েছেন এবং পাকিস্তান সেনা ও সরকার সেই তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন।
ইমরান খানের ছেলে জিশানও দাবি করেছিলেন, তাঁর বাবা যে বেঁচে আছেন, তার প্রমাণ দিতে হবে। জিশানের অভিযোগ ছিল, ইমরানকে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে এবং তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে তিনি পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। শেহবাজ সরকার ইমরান খানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে, সেই কারণেই তাঁর কোনো ছবি বা ভিডিয়ো প্রকাশ করা হচ্ছে না। বোনের সাক্ষাতের পর সেই জল্পনায় আপাতত ইতি পড়ল।