সম্প্রতি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর ‘মৃত্যুর’ ভুয়ো খবর নিয়ে টানাপোড়েনের পর এবার শিরোনামে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) নাকি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তির (Ancestral Property) বড় অংশ থেকে তাঁর সন্তানদের— সানি, ববি, এষা বা অহনা দেওল— বঞ্চিত করেছেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে এক গভীর পারিবারিক অঙ্গীকার। জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র তাঁর পৈতৃক জমির একটি বিশাল অংশ তাঁর কাকার নাতি-নাতনিদের দান করে দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, কাকার বংশধররা যেন কোনো দিন অর্থাভাবে না পড়েন এবং নির্বিঘ্নে তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কাটাতে পারেন।
২.৫ একর জমির মূল্য ৫ কোটি টাকা: পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার নাসরালিতে অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর বিপুল পৈতৃক জমি রয়েছে। ব্যস্ত বলিউড কেরিয়ারের কারণে সেই ভূসম্পত্তির দেখভাল করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে ওঠে। এই কারণেই তিনি প্রায় আট থেকে দশ বছর আগেই এই জমিজমা কাকার বংশধরদের নামে লিখে দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ২.৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে ধর্মেন্দ্রর কাকার উত্তরসুরিরা এই জমির রক্ষণাবেক্ষণ করছেন এবং কাগজকলমে জমির মালিকানা এখন ‘শোলে’-র ‘বীরু’-র কাকার নাতি-নাতনিদের হাতে।
শিকড়ের প্রতি টান: ধর্মেন্দ্রর শৈশবের যোগ ছিল লুধিয়ানার ডাঙ্গোর গ্রামের সঙ্গে, যেখানে তিনি তাঁর জীবনের প্রথম তিনটি বছর কাটান। বলিউড সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পরও জন্মভিটের মাটি কপালে ছুঁইয়ে প্রণাম করার মতো ঘটনা প্রমাণ করে, ফেলে আসা শিকড়ের প্রতি তাঁর টান কতটা গভীর।
ধর্মেন্দ্রর কাকার নাতি বুটা সিং, যিনি লুধিয়ানার একটি কাপড় কলে কাজ করেন, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে কোনো জমির বিবাদ শুরু হওয়ার আগেই অভিনেতা তাঁর পৈতৃক বাড়ির বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা তাঁর পারিবারিক দায়িত্ববোধকেই তুলে ধরে।