‘শারীরিক অক্ষমতা হার মানে মনের কাছে’! ট্রাই সাইকেলে ঝুড়ি বিক্রি করেই ৬ জনের সংসার চালান পুরুলিয়ার ধীরেন কালিন্দী

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁর জীবনযুদ্ধে হার মানতে পারেনি। মনের জোরে প্রতিদিন জীবন সংগ্রামের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন পুরুলিয়ার ধীরেন কালিন্দী। বিশেষভাবে সক্ষম ধীরেন ঝালদা দু’নম্বর ব্লকের মরগুমা গ্রামের বাসিন্দা।

তাঁর পায়ে সমস্যা থাকায় চলাচলের জন্য বাঘমুন্ডি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো তাঁকে একটি ট্রাই সাইকেল উপহার দিয়েছিলেন। সেই ট্রাই সাইকেলই আজ ধীরেনের রুজি-রোজগারের একমাত্র ভরসা।

৬ জনের সংসারের লড়াই:

ধীরেন নিজের হাতে বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করেন। এরপর ওই ট্রাই সাইকেলে করে মরগুমা জলাধারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করেন। এর মাধ্যমেই তাঁর ছয়জনের সংসার চলে—যেখানে তাঁর স্ত্রীও বিশেষভাবে সক্ষম এবং সংসারে রয়েছে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।

ধীরেন কালিন্দী প্রমাণ করে দিয়েছেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা যায় কেবল মনের জোরে। প্রতিটা দিন লড়াই করে তিনি জীবনে পথে এগিয়ে চলেছেন, যা বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।

সরকারি সাহায্যের আর্জি:

ধীরেন কালিন্দী জানান, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় কোনো রকমে সংসার চলে। সরকারিভাবে তিনি প্রতিবন্ধী ভাতা পান। প্রাক্তন বিধায়কের দেওয়া ট্রাই সাইকেলে ঘুরে তিনি বাঁশের তৈরি জিনিস বিক্রি করেন এবং সেই অর্থ দিয়েই ছয়জনের সংসার প্রতিপালন করেন।

তবে বয়স বাড়ার কারণে এখন বেশি দূর আর এই ট্রাই সাইকেল নিয়ে যেতে পারেন না তিনি।

ধীরেনের আশা, যদি সরকারিভাবে তাঁকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তিনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করে ভালোভাবে সংসার চালাতে পারবেন। এর পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর রুজি-রোজগারকে সহজ করার জন্য তিনি ইলেকট্রিক ট্রাই সাইকেলের আবেদনও জানিয়েছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy