উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উদযাপনের সময় গুলি চালানোর ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র ভাটি-র। গুলির ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্মেন্দ্র ভাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। আনন্দের পরিবেশ মুহূর্তের মধ্যে শোকে পরিণত হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল?
বুলন্দশহরের কাকোদ শহর থেকে বর শিবমের বিয়ের শোভাযাত্রা চোলা থানা এলাকার খানপুর গ্রামে পৌঁছানোর পর এই ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই কনের পরিবারের সদস্য, খানপুরের বাসিন্দা সুগ্রীব সোলাঙ্কি, তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল দিয়ে উদযাপনমূলক গুলি চালাতে শুরু করেন।
জানা যায়, সুগ্রীব সোলাঙ্কি বেশ কয়েকবার গুলি চালানোর পর হঠাৎ গুলিটি তাঁর পিস্তলে আটকে যায়। তিনি বারবার ট্রিগার টিপলেও গুলি বের হয়নি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ গুলি ছোটে, যা কাছেই চেয়ারে বসে থাকা অজয় নগরের বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র ভাটিকে আঘাত করে। গুলিটি তাঁর বাহু ভেদ করে সরাসরি বুকে বিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ধর্মেন্দ্র মারা যান। তিনি বিজেপির জেলা মন্ত্রী ছিলেন।
পুলিশের পদক্ষেপ:
ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্দশহরের এসপি সিটি শঙ্কর প্রসাদ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সুগ্রীব সোলাঙ্কিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধর্মেন্দ্র ভাটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
যদিও ঘটনার মাঝেই বর শিবমের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু পুরো গ্রাম ও পরিবারে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। চোলা থানার ইনচার্জ বলরাম সিং সেঙ্গার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সুগ্রীব সোলাঙ্কিকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও জানান যে, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই সুগ্রীব সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।