ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) আবহে ডানকুনিতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একজন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “মাথায় নিশ্চয়ই তৃণমূলের হাত আছে। তৃণমূলের আশীর্বাদ আছে। এরা যেভাবেই হোক বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে চায় নিজের ভোটব্যাঙ্ককে বাঁচানোর জন্য।” অভিযুক্ত নাদিম নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে ভারতে এসেছেন।
তৃণমূলের কড়া বার্তা:
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি গুঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “এই SIR-এর ফলে দুধের মতো দুধ, আর জলের মতো জল পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরকম নাদিম প্রচুর বেরোবে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তথা ডানকুনি থেকে।”
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ডানকুনি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ রাহা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। প্রকাশ রাহা বলেন, “আমাদের দলের নীতি হল, কেউ কোনও অপরাধ করলে, সেই অপরাধীর পাশে কোনওমতেই তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়াবে না। প্রশাসন নিশ্চয়ই তদন্ত করবে।”
হাওড়ায় ‘উলটপূরাণ’: জীবিতকে মৃত বানানোর অভিযোগ:
এদিকে, হাওড়ার শিবপুরে এক উলটপূরাণ ঘটেছে। ৬৮ বছর বয়সী শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক জীবিত বৃদ্ধাকে ‘মৃত’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়েছে। বৃদ্ধার দাবি, তিনি ২০০২ সালেও ভোট দিয়েছেন।
অসহায় ও অসুস্থ বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ২৯৯ নম্বর বুথের বিএলও (BLO) রমেশ সাউ ছয় নম্বর ফর্ম দিয়ে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে ফর্ম সংগ্রহ করা হবে এবং নতুন করে তাঁর নাম তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।