‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর জন্য মহাকাশ গবেষণায় Gen Z-কে এগিয়ে আসার আহ্বান ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় বর্তমান প্রজন্মের অর্থাৎ জেন জি (Gen Z)-এর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এমনই মন্তব্য করলেন ভারতীয় মহাকাশচারী এবং বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তাঁর বক্তব্য, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ‘বিকশিত ভারত’-এ পরিণত করার কেন্দ্রীয় সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা পূরণে এই তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে আসা খুবই জরুরি।

বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা স্কাইরুট এয়ারোস্পেস ইনফিনিটি ক্যাম্পাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভাংশু শুক্লা। তিনি ইসরোর (ISRO) প্রথম মহাকাশচারী যিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (ISS) গিয়েছিলেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েই তিনি নতুন প্রজন্মকে মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ দেখানোর জন্য আহ্বান জানান।

ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মহাকাশ যাত্রা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।

সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ:

টেস্ট পাইলট থেকে মহাকাশচারী: শুভাংশু শুক্লা জানান, যখন তাঁর কাছে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ আসে, তখন তিনি একজন টেস্ট পাইলট ছিলেন। আকাশকে জানার যে ইচ্ছা, সেই সুযোগটি তিনি গ্রহণ করেছেন।

প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা: তিনি বলেন, ভারত, রাশিয়া ও আমেরিকায় নেওয়া সব ধরনের প্রশিক্ষণই ছিল চ্যালেঞ্জিং, তবে প্রশিক্ষণের মূল বিষয়বস্তু ছিল একই—মহাকাশ যাত্রার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।

ISS-এ কঠিন সময়: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে তাঁর সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল প্রথম দু-তিন দিন। কারণ শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল এবং স্বল্প সময়ের জন্য যাওয়ায় সেই অসুস্থতার মাঝেই কাজ করতে হয়েছিল।

Gen Z-এর প্রতি বার্তা: শুভাংশু শুক্লা Gen Z-কে মহাকাশ নিয়ে আরও বেশি আগ্রহ প্রকাশ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ এর লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২ লাখ স্কোয়ারফিটের এই স্কাইরুট ইনফিনিটি ক্যাম্পাসের সূচনা করেন, যেখানে মহাকাশ গবেষণার অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে। তিনি স্কাইরুটের প্রথম রকেট বিক্রম-১ (Vikram-1)-ও প্রকাশ্যে আনেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy