টলিপাড়ার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুরুষদের আবেগ এবং সমাজিক দায়িত্ব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন। নভেম্বরে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপনের পরিপ্রেক্ষিতে, একজন আদর্শ পুরুষের সংজ্ঞা এবং পুরুষদের কাঁদার সামাজিক ট্যাবু নিয়ে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।
‘পুরুষদের কাঁদতে নেই’—এ কথায় বিশ্বাস নেই প্রসেনজিৎ-এর
পুরুষদের কাঁদতে নেই, এই সামাজিক ধারণাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পুরুষদের কাঁদতে নেই, এই কথাটায় আমি বিশ্বাস করি না। ছোটবেলা থেকে আমি আবেগপ্রবণ। আমাকে কোনও কথা বললেন, আমার আবেগে আঘাত লাগলে, হাউহাউ করে কেঁদে ফেলতাম।”
তিনি যোগ করেন, তাঁর এই ইমোশনাল দিকটি ইন্ডাস্ট্রির সকলেই জানেন। এমনকি, তাঁর পরিচালকরা বকা দিলেও তিনি কেঁদে ফেলতেন।
“আমার কোনও ছবি হিট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ফ্লপ হয়ে গেলে, আমার প্রযোজক-পরিচালকরা দেখেছেন, আমি তাঁদের কোলে শুয়ে কাঁদছি,” অকপটে জানান সুপারস্টার।
প্রসেনজিৎ মনে করেন, ছেলেদের ওপর একটা দায়িত্ব থাকে বলেই হয়তো তাঁরা কান্না বা কষ্টকে প্রকাশ্যে আনতে পারেন না, কারণ অনেকেই তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, “আমাকে আমার মতো থাকতে দাও” — এই ভাবনাটাই আসল।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে প্রসেনজিৎ-এর বার্তা
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস নিয়ে নিজের বার্তায় অভিনেতা বলেন, “আমি বার্তা দেওয়ার কেউ নই। তবু বলব, পুরুষদের একটা দায়িত্ব আছে। শুধু পরিবারের প্রতি নয়, নিজের প্রতি, সমাজের প্রতিও।”
তাঁর প্রধান বার্তা হলো ভালোবাসা উদযাপন করা। তিনি বলেন, “মানুষকে ভালোবাসা দিন, মানুষের থেকে ভালোবাসা নিন, যেটা এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে শান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
কাজের ব্যস্ততা
পুরুষ দিবস উদযাপনের পাশাপাশি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে একাধিক ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দুর্গাপূজায় মুক্তি পেয়েছিল তাঁর ‘দেবী চৌধুরাণী’। নতুন বছরে ২৩শে জানুয়ারি মুক্তি পাবে চন্দ্রাশিস রায়ের পরিচালনায় কাকাবাবু সিরিজের তৃতীয় ছবি ‘বিজয়নগরের হীরে’। এই বছর ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এও তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে।
অনুরাগীরা আশা করছেন, সামনের বছর একের বেশি বাংলা ছবিতে দেখা যাবে সুপারস্টারকে। কোন হিন্দি ছবি বা ওয়েব সিরিজে তাঁকে দেখা যাবে, সেই অপেক্ষাও করছেন দর্শক।