দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরই এবার মেট্রো সুরক্ষায় আনা হলো আমূল পরিবর্তন। বিশেষ করে গ্রিন লাইনের সুরক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতদিন যেখানে লাগেজ স্ক্যানিং এবং প্ল্যাটফর্ম সুরক্ষার বেশিরভাগ দায়িত্বে ছিল বেসরকারি সংস্থা, সেখানে এবার গ্রিন লাইনের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ভার তুলে দেওয়া হচ্ছে RPF-এর হাতে।
সম্প্রতি দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া পরপর তিনটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই সন্ধেয় লালকেল্লা মেট্রো গেটে আগুন লেগে যায় এবং পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের পর নাশকতার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। যদিও বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনার পরই দিল্লি, মুম্বই, কেরল এবং লখনউ-সহ পাঁচটি বড় শহরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গ্রিন লাইনের নিরাপত্তা বাড়াতে RPF ছাড়াও নিয়ে আসা হয়েছে RPSF-এর বিশেষ বাহিনীকে, মোতায়েন করা হয়েছে মোট চার কোম্পানি RPSF।
পাশাপাশি, সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে ৫৭টি স্টেশনে AI বেসড সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ব্লু লাইনেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার কাজ চলছে। রেল বোর্ড ইতিমধ্যে এই বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে এসেছে হরিয়ানার আল ফালাহ্ ইউনিভার্সিটি। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত তিন চিকিৎসকের নাম জড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মঙ্গলবার দিল্লি-এনসিআর জুড়ে ২৫টি স্থানে তল্লাশি শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠায় এবার আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির আর্থিক দিক নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে ইডি।